ফরিদপুর সংবাদদাতা :: করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক দূর্যোগে সচেতনতা সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সেবায় সতর্ক দৃষ্টি, কর্মহীন ও দুস্থ্যদের জরুরী ত্রান তৎপরতাসহ নানা ক্ষেত্রে জনসেবা অব্যাহত রেখেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক কর্মকান্ডের সাথে সাথে ইলেকট্রনিক ফাইলিং (ই ফাইলিং) এ পিছিয়ে নেই এ জেলা। গত মাসের প্রথম হওয়ার ধারাবাহিকতায় এ মাসের ফলাফলে আবারো প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
একসেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ই ফাইলিং এ ক্ষেত্রে এ ক্যাটাগরির জেলা ২৫ টি। আর এই এ ক্যাটাগরির ২৫ টি জেলার মধ্যে মার্চ মাসের ফলাফলে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। ২৭ হাজার ১শত ৮৮ টি ডাক নিষ্পন্নের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন প্রথম স্থান অর্জন করে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে স্ব উদ্যোগে সৃজিত নোটের সংখ্যা ৪ হাজার ৭ শত ৭৪ টি, ডাক থেকে সৃজিত নোট ৭ হাজার ৭ শত ৭ টি, নোটে নিষ্পন্ন ৯ হাজার ৯শত ০৪ টি, আন্ত:সিস্টেম পত্রজারিতে নিষ্পন্ন নোট ৩ হাজার ৮ শত ৩০ টি, ইমেল ও অন্যান্যভাবে পত্রজারী ৯ শত ৫১ টি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ফলাফলেও সেরাদের সেরা হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। ওই সময় ২৫ হাজার ৯শত ৮৫ টি ডাক নিষ্পন্ন হয়েছিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে।
চলমান বৈশ্বিক করোনা দূর্যোগেও জনসেবা এবং ই ফাইলিং ক্ষেত্রে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন পিছিয়ে না থাকে সেজন্য কাজ করার জন্য কর্মরত সকলের প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার। তার আহবানে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মরত সকলেই স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে কর্মকান্ডে এগিয়ে আসে। দুর্যোগ মোকাবেলা ওই ফাইলিং-একযোগে কাজ করছে জেলা প্রশাসনে কর্মরত সকলেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জুন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন জনাব অতুল সরকার। প্রথম দিনেই তিনি জেলা প্রশাসনে কর্মরতদের সাথে আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে ই ফাইলিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর প্রতি নিয়তই এ বিষয়ে তিনি নিবিড় তদারকি করেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের মধ্যে ই ফাইলিং র্যাংকিং এ সর্ব নিম্নের কাছাকাছি থেকে উপরে উঠতে থাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। ফলশ্রুতিতে গত দু মাস ই ফাইলিং-অব্যাহতভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে চলেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
মূলত: সরকারি অফিসে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। ই-ফাইলিং সরকার ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়াচ্ছে। জনগণ ও সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করছে এটি। এটি এখন ক্ষেত্র বিশেষের বিজ্ঞান নয়, সার্বজনীন বিজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে কাজ চালানো যায় এ সুবিধা নিয়ে।
এই প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের একজন প্রতিনিধি এবং ফরিদপুরের মানুষের সেবার লক্ষ্যে আমিসহ আমাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-ফাইলিং সিস্টেমের কাজ শুরু করেছি। সরকারি অফিসে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনাই মূলত ই-ফাইলিং বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।