lead-news24.com desk:
ইন্টারনেটের মূল্য একেক মোবাইল অপারেটরে একেক রকম। গ্রাহকরা বলছেন, ইন্টারনেটের দামও কিছুটা বেশি। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনও (বিটিআরসি) চিন্তিত। তাই এবার ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণের কাজে হাত দিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এর আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল কলরেটের সর্বনিম্ন মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছিল। আর এবার ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও টেলিযোগাযোগ কমিশন একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। গত ১৪ আগস্ট মোবাইল ফোনের সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা চালুর পর বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। যদিও মোবাইল অপারেটরেরা বলে আসছিল নতুন কলরেটে গ্রাহকরাই লাভবান হবে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর বিটিআরসি এক হিসাবে দেখা গেছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মাসে অতিরিক্ত প্রায় চারশ কোটি টাকা আয় করছে। ৪৫ পয়সার কলরেট চালুর পর বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া ও সমালোচনার মুখে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এই কলরেট পর্যালোচনা শুরু করেছে।
আর এবার বিটিআরসি ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়েছিল।
এরই অংশ হিসেবে এটি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসেই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে জোরেশোরে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও চাওয়া হয়েছে। সবপক্ষ প্রস্তাব আসার পরেই মূল্য নির্ধারণের কাজটি শেষ করাহবে।