lead-news24.com desk:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসলাম ধর্ম বা হজরত মুহাম্মদ (সা. )-এর সম্পর্কে কোনো অপপ্রচার চালানো হলে সাইবার ক্রাইম আইন দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইন দিয়েই অপপ্রচারকারীদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত “শোকরানা মাহফিল” অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জানি সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের, অপপ্রচার চালানো হয়। এই অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না। এই অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য, এরই মধ্যে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করে সাথে সাথে সেই আইন দ্বারা তাদের বিচার করা হবে, গ্রেপ্তার করা হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের নবী করিম (সা.)-এর সম্পর্কে কেউ কোনো কথা বললে, আইন দ্বারাই তার বিচার হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো রকম যাতে অপপ্রচার চালাতে না পারে, সেটা বন্ধ করার জন্য আমরা আইন করে দিয়েছি। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিব না। আইনের দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দিব।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “সামান্য কয়েকটা লোক আমাদের ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে ইসলাম ধর্মের নামে বদনাম দেয়। যখনই কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যাই, কেউ যদি বলে ইসলামিস্ট টেররিস্ট, আমি সাথে সাথে আপত্তি জানাই। এটা বলতে পারবেন না। কারণ, সবাই এই টেরোরিজমে বিশ্বাস করে না।”
“হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী”।
এদিকে, সকাল ৯টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এই মাহফিল শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে মাহফিলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেই আলেমদের সমাগমে একপ্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশ থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ভাতার দাবি তোলা হয়।
ঢাকাসহ সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন, লঞ্চে করে ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে অংশ নিতে যেতে দেখা গেছে।