সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আরিফ কাজী (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা করার অভিযোগে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিফের স্ত্রী ফারজানা ইসলাম কেয়া (৩০) ও শ্বশুর কাশিয়ানী এমএ খালেক কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবাদুল ইসলামকে (৫৬) আটক করেছে।
সোমবার সকালে পুলিশ কাশিয়ানী উপজেলার ঘোনাপাড়া বাজার এলাকায় নিহতের শ্বশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। আরিফ গোপালগঞ্জ শহরের গেটপাড়ার মৃত মজিবর কাজীর ছেলে। তিনি গরুর খামারের ব্যবসা করতেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, রবিবার রাতের কোনো এক সময় আরিফ কাজীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার হাত-পা ও পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত ও পা থেতলে গেছে।
আঘাত জনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্ত মাখা লাঠি ও ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওসি আজিজ আরো বলেন, নিহতের স্ত্রী ফারজানা ইসলাম কেয়া পুলিশকে জানায় তার স্বামী গভীর রাতে আহত ও অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে খাটে শুয়ে পড়েন। সোমবার সকাল ৬টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।