প্রতিবেদক:
জয়পুরহাট শহরের আরামনগর এলাকার একটি বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের আটজন নিহত হয়েছেন।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের অদূরে আরামনগর এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী আবদুল মোমিনের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আবদুল মোমিন (৩৮), তাঁর স্ত্রী পরিনা বেগম (৩৩), তাঁর মা মোমেনা বেগম (৬২), বাবা দুলাল হোসেন (৭১), মোমিনের মেয়ে বৃষ্টি (১৪), যমজ মেয়ে হাসি ও খুশি (১২) এবং ছোট ছেলে নূর (৬)।
আবদুল মোমিনের চাচা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত পাঁচজনকে রাতেই জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে পথে আরো চারজন মারা যান। আবদুল মোমিনের বাবা দুলাল হোসেন বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল হাসান, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আবদুল মোমিনের টিনশেডের পাকা বাড়ির চারটি ঘর ও আসবাব পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেয়।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বা রাইস কুকার বিস্ফোরণে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হয়েছিল। পরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাড়ির রাইস কুকার ও গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত রয়েছে।