কক্সবাজার সংবাদদাতা :
কক্সবাজারের টেকনাফে আটক আসামিকে নিয়ে অভিযানে গেলে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলম (৪০) নিহত হয়েছেন।
এ সময় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারসহ এই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য এসআই ওহিদ, কনস্টেবল রুবেল শরর্মা ও সেকান্দার আহত হয়েছেন।
রোববার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেঙ্গুরবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি দক্ষিণ নেঙ্গুরবিল গ্রামের আবদুল খাদের ওরফে পেরান খাদেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দুটি ইয়াবা, দুটি অস্ত্রসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী এবং আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আবুল হাকিমের সহযোগী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে ছয় মামলার আসামি আলমের অবস্থানের খবর ফেয়ে পুলিশের একটি দল শনিবার সকালে টেকনাফের দক্ষিণ নেঙ্গুরবিল গ্রামের অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলম (৪০) আটক করে।
পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তার নেতৃত্বে ভুল মাঝি নামের এক বাহিনী মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবা চালান এনে ওই এলাকায় দিয়ে খালাস করেছিল। তারই সূত্র ধরে আটককৃতকে নিয়ে সেখানে অভিযানে গেলে ভুলু বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে ডাকাত আলমকে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে।
এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় হামলাকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত আলমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত তিন পুলিশ সদস্যকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।