প্রতিবেদক :
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক শেখ গোলাম মাহাবুব এ রায় দেন।
রফিকুল ইসলাম মিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ বিষয়ে গণ মাধ্যেমকে জানিয়েছেন।
হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে তিন মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আজ এ মামলায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া হাজির না হওয়ায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নথি থেকে জানা যায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন-সংক্রান্ত অভিযোগ পায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
২০০১ সালের ৭ এপ্রিল দুদক ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ জারি করে।
কিন্তু ওই বছরের ১০ জুনের মধ্যে বিবরণী দাখিল করতে বলা হলেও তিনি তা না করায় ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর ওই বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।