ডেস্ক প্রতিবেদক ::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আপিলের দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ আপিল শুনানি শুরু হয়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ফের আপিল শুনানি হচ্ছে। এটি শেষ হবে আগামীকাল শনিবার।
সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী আজ ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর পর্যন্ত এবং আগামীকাল শনিবার শেষ দিন ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদনের শুনানি হবে।
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ১১ তলায় এ লক্ষ্যে গঠিত এজলাসে আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিচারকদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ দ্বিতীয় দিনের আপিল নিষ্পত্তি শেষে যারা অবৈধ রয়ে গেলেন তাঁরা হলেন, সামির কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬); মো. আবদুল লতিফ জনি (ফেনী-৩); মো. শাহজাহান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২); আবদুল মজিদ (কুমিল্লা-২); ওসমান হোসাইন (বরিশাল-৬); ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস (পিরোজপুর-৩); মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (ঝালকাঠি-১); এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-১); মো. মিজানুর রহমান খান (পটুয়াখালী-২); এম এ মান্নান হাওলাদার (ভোলা-৪); মো. শাহ জালাল শামীম (ঝালকাঠি-১); মনি মোহন বিশ্বাস (পিরোজপুর-১); ইয়াসমীন আক্তার পপি (ঝালকাঠি-১); মাহবুবুল আলম (বরিশাল-৪); হুমায়ুন কবীর (ভোলা-২); মো. আতোয়ার হোসেন (মানিকগঞ্জ-১); আরিফুর রহমান (ঢাকা-৮); মো. আনিসুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২); মো. আনিসুজ্জামান খোকন (ঢাকা-১৭); মেজর (অব.) মামুনুর রশীদ (ঢাকা-৮); শামসুল আলম খান চৌধুরী (গোপালগঞ্জ-১); মো. মনিরুজ্জামান নয়ন (কিশোরগঞ্জ-৩); মো. রেহান আফজাল (নারায়ণগঞ্জ-১)।
সারা দেশ থেকে আসা ৫৪৩টি আপিল আবেদনের প্রথম দিন ১৬০ জনের শুনানি নেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৮০ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে ৭৬ জনের। এ ছাড়া চারজন প্রার্থীর আবেদন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা গত ৩ ডিসেম্বর ৮৪টি, ৪ ডিসেম্বর ২৩৭টি এবং গত বুধবার শেষ দিনে ২২২টি আবেদন দায়ের করেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।