সংবাদদাতা ::
ফরিদপুরে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে মো. ইউসুফ আল মামুন নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন । এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর আরও একজন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইউসুফ আল মামুন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। আহত লালন ফকির ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্যমতে, রাত ৮টার দিকে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গি এলাকার একটি চায়ের দোকানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেন আজিজ নামের এক বিএনপি সমর্থক।
কটূক্তির প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইউসুফ আল মামুন।
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আজিজ তার লোকজন নিয়ে এসে ইউসুফ ও সেখানে থাকা লালন ফকিরের ওপর হামলা চালায়। হামলার পর ইউসুফ আল মামুনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত লালন ফকিরকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ইউসুফের লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহত লালন ফকিরের ভাই আফসার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গোলডাঙ্গি এলাকার একটি চায়ের দোকানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদ করায় আমাদের বিপক্ষের দলের আট-দশজন লোক আমার ভাই লালন ফকির ও ইউসুফের ওপর হামলা করে। এতে আমার ভাই আহত হয়। আর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইউসুফ আল মামুন নিহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করে বলেছেন, হামলাকারীরা বিএনপির সমর্থক। নিহত ইউসুফ নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। এই ঘটনায় আরো একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমির উদ্দিন হাজি এ বিষয়ে বলেন, নিহত ইউসুফ ও অভিযুক্ত আজিজ দুজনই সমবয়সী। তাঁরা একইসঙ্গে চলাফেরা করেন। আজ রাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচনের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা নেওয়া হবে।