• বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে সাংবাদিক-পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল সৌদিতে দুর্ঘটনায় ১২ বাংলাদেশির মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর শোক মামলার থাকায় প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না ইউএনওদের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় পদ্মা রেল লিংকের শ্রমিক নিহত ভাঙ্গায় নারীর ক্ষমতায়নে উই প্রকল্পের র‍্যালী ও আলোচনা সভা ভাঙ্গায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে র‍্যালী ও আলোচনা সভা ভাঙ্গায় মাঝারদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে ঘর পেল ২৬৪টি ভূমিহীন পরিবার

ড. কামাল বললেন, খামোশ, কত টাকা পেয়েছ!

Reporter Name / ৯৫০ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিবেদক ::

স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

আজ শুক্রবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার শিকার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে জামায়াত সম্পর্কিত প্রশ্নে ক্ষেপে যান সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি ছাড়াও আরো চারটি দল রয়েছে। সেখানে জামায়াতে ইসলামী নেই। কিন্তু জামায়াত দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক। আদর্শ ও ভাবধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

এর ফলে জামায়াত এবার তার নিজস্ব প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচন করতে পারছে না। সারা দেশে ২২টি আসনে জামায়াত নেতারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও প্রায় সব আসনে এবার ভোটের মাঠে লড়াই করছেন একই প্রতীকে।

এ প্রেক্ষাপটেই আজ শহীদ বুদ্ধীজীবী দিবসে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাংবাদিক জামায়াতে ইসলামী নিয়ে ড. কামাল হোসেনের অবস্থান জানতে চান। একপর্যায়ে সাংবাদিকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন, বেহুদা কথা বলো, কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্ন করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? এই জায়গায় এই রাজনৈতিক প্রশ্ন করতে… ।

তোমার নাম কী? জেনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা করো তোমরা? আশ্চর্য, শহীদদের কথা চিন্তা করো! চুপ করো, চুপ করো! খামোশ, আশ্চর্য!, যোগ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

এরপর গণফোরাম সভাপতি আবারও ওই সাংবাদিকের নাম ও কোন টেলিভিশনে কাজ করেন, তা জানতে চান। সাংবাদিক তাঁর পরিচয় দেওয়ার পর তিনি শহীদ বেদি থেকে নেমে চলে যান।

এ সময় সেখানে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরাম নেতা ও নির্বাচনের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়াসহ ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরও সংবাদ