ফরিদপুর/ভাঙা সংবাদদাতা
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালি বাজারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে পাচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গতকাল রোববার রাতে সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালীতে ওই সংঘর্ষ শুরু হয়ে রোববার দিবাগত রাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
জানা যায়, ভোট চাওয়া নিয়ে জাফর উল্লাহর সমর্থক শিশু খাঁর লোকজনের সঙ্গে ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুকের লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। ঢেউখালী ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক।
এরইমধ্যে ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে আটক করা হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠে। সদরপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। একই সময় ঢাকা-খুলনা-ভাঙ্গা মাওয়া মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আলাপ আলোচনায় চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে মুক্তি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় মধ্যরাতে।
বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমার সমর্থকদের সঙ্গে নৌকার সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ আমার এক জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে আটক করে। খবর পেয়ে আমি তিন থানার জনগন সাথে নিয়ে প্রশাসনকে বোঝাতে সক্ষম হই যে আমার চেয়্যারম্যানের কোনো দোষ নেই। তারা সেটা বিবেচনা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
উলেখ্য, গত শুক্রবার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণার কালে উপজেলার ঘারুয়া বাজারে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র প্রাথীর কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদে ভাঙ্গা হাসপাতাল মোড় ও ভাঙ্গা-মাওয়া সড়কের পৌরসভার সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে।
স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্দ কর্মীরা।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ঘারুয়া বাজার এলাকায় একটি নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কাজী জাফর উল্লার নেতা কর্মীরা নৌকার অফিস থেকে নিক্সন এমপিকে নিয়ে কটূক্তি করার ঘটনা থেকে ওই সংঘাতে রুপ নেয়। টিপু ভূঁইয়াসহ প্রায় ১০ জন এই ঘটনায় আহত হয়।