ফরিদপুর-৪ আসন :: বাংলাদেশের মানচিত্রে ফরিদপুর-৪ আসনটি (সাবেক ফরিদপুর-৫ আসন) আওয়ামীলীগের স্থায়ী আসন বলেই খ্যাত।
ভাঙা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে এই আসনটি ফরিদপুর-৫ আসন নির্বাচনী এলাকা ছিল। এরপর সদরপুর উপজেলা পৃথক আসন হিসাবে নির্বাচনী এলাকা করা হয়। একইভাবে ভাঙা উপজেলা ছিল আলাদা নির্বাচনী আসন। পরবর্তীতে ভাঙা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত হয় ফরিদপুর-৪ আসন।
গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ঘাটি বলে খ্যাত এই আসনে দূর্বার গতিতে হানা দেন স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি আওয়ামীলীগের নৌকার প্রাথীকে হারিয়ে নিজেকে জনতার কাতারে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন।
মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির গত নির্বাচনে প্রতীক ছিল আনারস এবার তিনি পেয়েছেন সিংহ প্রতীক ।
গত নির্বাচনের মত এবারের ভোট যুদ্ধের প্লাবন ঘটবে নৌকা বনাম স্বতন্ত্র সাংসদ এর প্রতীক সিংহের সাথে। ভাঙা সদরপুর ও চরভদ্রাসন এলাকার সাধারণ ভোটারগণ এমনটাই হিসেব- নিকেশ করছেন ভোটের রাজনীতিতে।
জনতার ভাষ্যমতে, ভোটের রাজনীতিতে নৌকার চারদিকে বইছে সিংহের হুঙ্কার? ইসলামী দল “পাখার বাতাসে দুলছে বিএনপির ধানের শীষ”। আবার ধানের শীষের সামনে কাস্তে নিয়ে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট এর প্রার্থী কমরেড আতাউর রহমান কালু। তিন উপজেলার নির্বাচনী হাওয়ায় চলছে সিংহর গর্জন। নৌকার পালে গত বারের চেয়ে বেশী হাওয়া লেগেছে।
সিংহর তর্জন আর গর্জন থাকলেও নৌকার পালে ভিন্ন মাত্রার হাওয়া লেগেছে বলে অভিমত আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের। সাধারণ ভোটারদের ভাষ্যমতে, ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সিংহ মার্কার নির্বাচনী জনসভা এবং নৌকা প্রার্থীর জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। পৃথক দুটি শো ডাউনের পর জনগণ হিসেব-নিকেশ করবে বলে অভিমত অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহলের।
নৌকা ও সিংহ প্রধান দুই প্রতি দ্বন্দ্বীর কাছ থেকে রাজনৈতিক দুরাস্থায় অবস্থান করছে বিএনপি। এরপরেও বিএনপির কিছু ভোট ব্যাং রয়েছে। সেখান থেকে ধানের শীষ প্রার্থী বেশ কিছু অর্জন করবে। কিন্তু বিএনপির একটি বিরাট অংশ নিক্সন এমপির সাথে রয়েছেন।
তার ওপরে ভাঙ্গায় বিএনপির ঘরোয়া কোন্দল যা নির্বাচনের মাঠে প্রার্থীর জন্য বাড়তি বোনাস। সেই সাথে সেলিমের বিরুদ্ধে নানাবিধ রাজনৈতিক অভিযোগ নিজে দলের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের। এরপরেও একটি অবস্থানে থাকছে বিএনপি প্রার্থি এমনটাই আশা রাখছেন বিএনপির কর্মীরা।
এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্যদুটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর এলাকায় প্রচার রয়েছে কিন্ত জনসমর্থন সীমিত।