প্রতিবেদক ::
আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকার পালে আজ হাওয়া লেগেছে। নির্বাচনে নৌকার জয় হবে। আবারও আমরা সরকার গঠন করে আপনাদের সেবা করবো।
আজ শুক্রবার গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষরা যেন ফ্লাটে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করবে আওয়ামী লীগ সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বস্তির মানুষ এখন যেভাবে থাকে সেভাবে থাকবে না। স্বল্প আয়ের মানুষরা যেন ফ্লাট বাসায় থাকতে পারে সে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সপ্তাহে, মাসে বা বছরে যেন তারা আয় অনুযায়ি ভারা দিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে পাতাল রেলের পরীক্ষা নীরিক্ষাও শুরু হিয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। আবার ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের লাইন মাটির নিচ দিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। ১০ বছর ধরে মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখছে আওয়ামী লীগ।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই মানুষের জীবনের আয়-রোজগার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে। বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য।
নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসি নাই। আমরা সরকার পরিচালনা করি মানুষের জন্য। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। বাংলাদেশের মানুষ সুস্থ্ভাবে বাঁচবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকার নাগরিক সুবিধা বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকায় বস্তির মধ্যে অনেক মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে। আমরা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে আর তারা এভাবে না থাকেন। ফ্লাটে থাকবে তারা। স্বল্প আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষরা যাতে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে, সেব্যবস্থা করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার নাগরিক সুবিধা বাড়াতে মেট্রোরেল হচ্ছে। অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেস হবে। পাতাল ট্রেন করে দেবো। এসব নিয়ে কাজ চলছে। গুলশান-বনানী থেকে শুরু করে সমগ্র ঢাকার উত্তরণ, বিশেষ করে যেসব ইউনিয়ন ছিল সেগুলোকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়েছি। মানুষ যাতে নাগরিক সুবিধা পায় সেজন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
জঙ্গিবাদ দমন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই গুলশানে যখন হলি আর্টিজানে হামলা হলো, সবাই ধারণা করেছিল এর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু মাত্র ৮-৯ ঘণ্টায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এরপর থেকে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি।
এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশকে খরা, দুর্ভিক্ষ, দুর্যোগ, অভাবের দেশ বলা হতো। যারা বিদেশে যেতেন তাদের এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো। তবে সেই বদনাম আর নাই। আজকে আর কারও কাছে হাত পেতে আমাদের চলতে হয় না। বাংলাদেশ আজ ভিক্ষুকের দেশ না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে।
ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক) সহ ঢাকার অন্যান্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দুপুরের মধ্যেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাঠে এসে উপস্থিত হন।