প্রতিবেদক ::
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন। এই সকল প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ ইসির হাতে নেই বলে তাদের প্রার্থিতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রোববার বিকেলে ইসি’র কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ চারজন নিবন্ধন হারানো জামায়াতের ২৫ নেতার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও মনোনিত ২৫ প্রার্থীসহ মোট ২৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
পরে নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদন তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামায়াতের এই ২৫ প্রার্থী হলেন: দিনাজপুর-১ আসনে মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ আসনে মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আসনে আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন।
বাগেরহাট-৩ আসনে আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আসনে অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ আসনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ আসনে মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম বিন সাঈদী, ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমান।
কুমিল্লা-১১ আসনে ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ। এছাড়া জামায়াতের নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম-১৬ এবং ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।