• মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৪২ অপরাহ্ন

নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দেড়শ কোটি টাকার লেনদেন: র‌্যাব

Reporter Name / ৯০৪ Time View
Update : বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিবেদক ::

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দুবাই থেকে টাকা এনেছিল একটি চক্র। তারা প্রতিদিন ১১-২০ কোটি টাকার লেনদেন করেছে। এসব টাকা হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে। রাজধানীর একটি অফিস থেকে গত দুই মাসে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিল সিটি সেন্টারের ২৭ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

এ ঘটনায় মতিঝিলের সিটি সেন্টার থেকে এক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। এ সময় তাদের কাছ থেকে আট কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেক জব্দ করে সংস্থাটি।

অভিযানে কথিত আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কর্পোরেশনের এমডি আলী হায়দার, গুলশানের আমেনা এন্টার প্রাইজের জিএম (এডমিন) জয়নাল আবেদিন ও অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করলেও গ্রেপ্তারকৃতদের একজন হাওয়া ভবনে কাজ করত বলে উল্লেখ করেন র‌্যাব মহাপরিচালক। এ ছাড়াও অফিসটি থেকে শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী নুরু উদ্দিন অপুর পোস্টার পাওয়া গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় টাকা ছড়ানো হতো। সিটি সেন্টারের ২৭ তলায় যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে ইউনাইটেড কর্পোরেশন ও ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মাস আগে অফিসটি ভাড়া নেয়। গত দুই মাসে অফিস থেকে ১৫০ কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। ইউনাইটেড করপোরেশনের কথিত মালিকের গত এক মাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন এবং গত দুই মাসে এক কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েছেন।

‘প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনকে প্রভাবিত ও প্রশ্নবিদ্ধ এবং পেশীশক্তির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতেই টাকাগুলো এখান থেকে পাঠানো হচ্ছে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, এখানে আমরা একজন প্রার্থীর কাগজপত্র দেখতে পেয়েছি যাকে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী নুরু উদ্দিন অপু। তার এলাকায় টাকা যাওয়ার পর নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে। আমরা দেখেছি দেশের যেসব স্থানে টাকাগুলো গেছে সেখানেই সহিংসতা হয়েছে।

শুধুমাত্র এ অফিস থেকে দিনে কোনোদিন ১১ কোটি, কোনোদিন ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। টাকাগুলো অধিকাংশ দুবাই থেকে হুন্ডি ও ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে। দুই মাসে আমরা ১৫০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। তবে এ অফিসের লোকজন টাকার রেকর্ড বেশি দিন রাখে না। তাই আমরা সব পাইনি। জব্দকৃত যন্ত্রাংশগুলোর ফরেন্সিক টেস্টের পর লেনদেনের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

তিনি বলেন, অফিসটিতে আমরা একটি আসনে ভোটারদের নাম, ফোন নাম্বার ও ঠিকানা সম্বলিত একটি তালিকা পেয়েছি। ধারণা করছি তাদের ভোট কেনার জন্য টাকাগুলো রাখা হয়েছে। যারা কালো টাকা দিয়ে ভোট কিনে, তারা ক্ষমতায় এলে দেশের অর্থনীতির কি হবে সেটা সবার অনুমেয়। জিজ্ঞাবাদের পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান বেনজীর আহমেদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরও সংবাদ