মামুনুর রশিদ ::
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের আজ আর বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে আওয়ামীলীগ ছাড়া তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।
শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার।
আর সেই উন্নয়নের সরকারের হাতে গণা ক’জন নেতাদের একজন আপনাদের নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহ ।
তিনি আওয়ামীলীগের অনেক বড় একজন শক্তিশালী নেতা। সম্পর্কের দিক হতে তিনি আমার ছোট ভাই। কিন্তু রাজনীতিতে আমারও চেয়ে তিনি অনেক বড় নেতা।
আমি বলছি আমার সেই ভাইকে আপনারা ভোট না দিলে আপনারা ঠকবেন না!
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থি কাজী জাফর উল্লার নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, কাজী জাফর উল্লাহকে আপনারা গত নির্বাচনে আপনারা ভোট না দিলেও এলাকার উন্নয়নে প্রতিটি সময় তিনি আপনাদের কথা ভেবেছেন। আপনাদের এলাকার উন্নয়নের জন্য আমার কাছে বার বার ছুটে গিয়েছেন। আর এই নেতাকে আপনারা চিনতে ভুল করছেন?
ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী এসময় ফরিদপুর-৪ আসনের উন্নয়নের একটি চিত্র তুলে ধরে উপস্থিত জনগণকে বলেন, গত ৬ মাসে ফরিদপুর-৪ আসনের উন্নয়নে আমি ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। এবার নিজেরাই ভেবে দেখুন কাজী জাফর উল্লাহ নিজের এলাকার জনগণকে কতটা ভালোবাসেন। আর আপনারা তাকে ভোট দেবেন না! তাহলে কাকে দিতে চান ? কাজী জাফর উল্লাহর পরিবার গত ৭০ বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
জনসভার সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা।
প্রধান বক্তা কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দেব। আমার প্রথম কাজ হবে এলাকার বেকার সন্তানদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি এ. কে. আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেকার যুবকদের চাকরি দেবেন। আপনারা কাজী জাফর উল্লাহকে নির্বাচিত করুন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে চাকরির ব্যবস্থা করব।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়েম আমীর ফয়সাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এম হক বাবু, মেহেদি হাসান লিটু, সায়েদীদ গামাল লিপু, সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান ভুঁইয়ার ছেলে রাজীব ভুঁইয়াসহ ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
বিকেল সারে তিনটায় জনসভা শুরু হলেও তিনটার থেকেই সরকারী পাইলট হাইস্কুল মাঠ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে টুই টুম্বর হয়ে উঠে। কিছু সময়ের মধ্যেই মাঠে তিল ধারণের ঠাই না থাকায় মাঠ ছেড়ে বিভিন্ন খোলা জায়গা ও রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা।
ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মহিলা, পুরুষ একযোগে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে সভাস্থলে। (জনসভার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন লিড-নিউজ ইউটিউবে)