সংবাদদাতা
রাজৈর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক, রাজৈর প্রেস ক্লাব সভাপতি খোন্দকার আবদুল মতিন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে স্বর্বস্ব খুইয়েছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তরের টেকেরহাট প্রতিনিধি খোন্দকার রুহুল আমিনের বড় ভাই ।
শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে টেকেরহাট ফেরার পথে শিমুলিয়াঘাট (মাওয়াঘাট) এলাকায় এঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দৈনিক ইত্তেফাকের টেকেরহাট (মাদারীপুর) সংবাদদাতা, রাজৈর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক ও রাজৈর প্রেস ক্লাব সভাপতি খোন্দকার আবদুল মতিন শুক্রবার সকাল ৭টার সময় ঢাকা গ্রেড বিক্রমপুর এর একটি যাত্রীবাহী বাসে টেকেরহাট আসছিল ।
পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার সিটে বসে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং তাদের বাড়ী মাদারীপুর সদর উপজেলার ইটেরপুল বলে জানায় । পরে বিস্কুটের সাথে নেষাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে নগদ ৩০ হাজার টাকা মোবাইল সেটসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় ।
বাসের লোকজন সবাই নেমে গেলেও খোন্দকার আবদুল মতিন তার সিটে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে ।
এসময় বাসের হেলপাড় ও কনট্রাক্টর তাকে বাস থেকে নামিয়ে শিমুলিয়াঘাট ইলিস কাউন্টারের পাশে ফেলে রেখে যায় ।
এসময় স্থানীয় এক ফলের দোকানদার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুতর অবস্থা দেখে সংবাদদাতার পকেটে কার্ড পেয়ে তাৎক্ষণিক মোবাইল করে ঘটনাটি মাদারীপুর ইত্তেফাকের সংবাদদাতা সাজাহান খানসহ বিভিন্ন স্থানে জানান। অতপর খোন্দকার আবদুল মতিনের পরিবার এঘটনা জানতে পারেন।
পরে লৌহজং থানা পুলিশ, মুকসুদপুর ও রাজৈর থানাকে বিষয়টি জানালে লৌহজং থানার পুলিশ এসে মুমুর্ষ অবস্থায় সাংবাদিক মতিনকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এরপর সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শনিবার দুপুর থেকে তার অবস্থা ক্রমে উন্নতি হতে থাকে । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি সঠিক ভাবে কথা বলতে পারছিলেন না । রাজৈর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোজখবর নেন ।