ডেস্ক প্রতিবেদক ::
সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর আর নেই। বুধবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ৫০ মিনিট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আমানুল্লাহ কবীরের ছোট ভাই বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর জানান, ৭১ বছর বয়সী আমানুল্লাহ কবীর ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার লিভারে ‘পানি চলে এসেছে’বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, অসুস্থতার কারণে গত ২৭ ডিসেম্বর আমানুল্লাহ কবীরকে শ্যামলীর ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় গত ১ ডিসেম্বর তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। দুদিন পরে তাকে বিএসএমএমইতে ভর্তি করা হয়।
নঈম জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, আজ বেলা ১০টায় আমানুল্লাহ কবীরের প্রথম জানাজা হবে দারুস সালাম ফুরফুরা শরিফ মসজিদে। এরপর তাকে নেওয়া হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে তাকে জামালপুরে নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আমানুল্লাহ কবীর সর্বশেষ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা আমানুল্লাহ কবীর। অবিভক্ত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের পাশাপাশি এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনেও পেশাজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন তিনি।
সাড়ে চার দশকের সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বাংলা দৈনিক আমার দেশ ও ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের (বর্তমানে বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন আমানুল্লাহ কবীর। এর আগে এসএম আলীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শুরুর দিকের বার্তা সম্পাদক ছিলেন তিনি।
টেলিভিশন টক শো-তে নিয়মিত মুখ ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। গত ২৭ দিন আগেও একটি টেলিভিশনে আলোচনায় ছিলেন।তিনি।