সংবাদদাতা ::
তরুণ আইনজীবি কানিজ ফাতেমা সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী আরিফা রহমান রুমা ও বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবি। ইতিমধ্যে কানিজ ফাতেমা বেশ আলোচনায় উঠে এসেছেন।
কানিজ ফাতেমা, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন এডভোকেট। তিনি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে দীর্ঘ তিন বছর আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। তার পিতা মোঃ আবুল কালাম খান (দাউদ) কার্যকরী কমিটি (২০১০-২০১১) এ নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময়ে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে) সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির অফিস ভবন থেকে জিয়াউর রহমানের ছবি অপসারণ পূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পুণঃস্থাপন করেন।
এডভোকেট কানিজ ফাতেমা সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হিসাবে আমি পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির আদর্শে বেড়ে উঠেছি। আমার রাজনৈতিক জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রভাবিত।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন নির্বাচন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে আমি ( আওয়ামী সমর্থিত) সাদা দলের প্রচারনায় মাঠে ছিলাম। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ল্যান্ড স্লাইড ভিক্টরির পর জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দলে তরুণদের প্রতি আস্থা রাখছেন এবং তারুন্যের জয়গানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার যে মেসেজ দেশবাসীকে দিয়েছেন, সেই বিষয় অনুধাবন করে একজন তরুন আইনজীবী হিসাবে নিজেকে একজন যোগ্য প্রার্থী মনে করি।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে সংরক্ষিত মহিলা আসনে তফসিল ঘোষণা করা হবে। জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন-২০০৪ অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) দল ও জোটভিত্তিক তালিকা তৈরি করবে এবং ভোটার তালিকা ইসিতে টানিয়ে দেবে।
এরপর ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০টি সংরক্ষিত আসনে দল কিংবা জোটের অনুকূলে বরাদ্দ করা হবে। গেজেট প্রকাশের নব্বই দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী এমপি নির্বাচন শেষ করতে হবে ইসিকে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন অনুযায়ী সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪টি, এক্যফ্রন্ট ১টি এবং স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল পাবে ২টি আসন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনে যোগ্যতম প্রার্থী অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যারা দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন জনপ্রিয় নেত্রীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমন গুণসম্পন্ন কর্মীর তালিকা তৈরি করছেন।