প্রতিবেদক ::
সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যার মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখে বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার সাজা বহাল রাখা হয়েছে। জারিমানা না দিলে আসামিদের আরো এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
আজ বুধবার আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৭ জুন এই মামলায় নয়জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারক মো. শাহেদ নূরউদ্দিন। এর পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, রাজিব হোসেন মনা, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মর্তুজা ওরফে অ্যাপলো ও তামজিদ হোসেন বাবু।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন ও রাজিব হোসেন মনা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি খবর প্রকাশের জের ধরে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতমকে তার কার্যালয়ে ঢুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ওইদিনই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান।
এরপরে ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম নবী। এর পরের বছর ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে বিবেচনা করে ফরিদপুরের আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। বিচার কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ২৭ জুন রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১।
পরে ট্রাইব্যুনাল দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। গত ৯ জানুয়ারি আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।