ফরিদপুর সংবাদদাতা ::
চাকুরী দেয়ার নামে প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয় আবেদনপত্র। অফিসার সেজে চাকুরীর ভুয়া নিয়োগপত্র দেন তিনি । ভুয়া চাকুরীর নিয়োগপত্র কাজে ব্যবহার করেন ভুয়া স্ট্যাম্প, সীল ও স্ট্যাম্প প্যাড। এমনকি ভুয়া কার্ড বানিয়ে থাকেন। আবার তিনি কখনও সাজেন সাংবাদিক। এমন একটি প্রতারক চক্রের অন্যতম এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর।
ওই প্রতারকের নাম লিয়াকত হোসেন (৩১)। আজ সোমবার ভোরে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের নিজ বাড়ি হতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া চাকুরীর নিয়োগপত্র, ভুয়া সীল ও স্ট্যাম্প প্যাড, ভুয়া স্ট্যাম্প এবং বিপুল পরিমান চাকুরী প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের আবেদনপত্র জব্দ করেছে র্যাব।
র্যাব-৮ ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন জানান, লিয়াকত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে কখনও পুলিশ কর্মকর্তা, কখনও সেনা কর্মকতা, কখনও ব্যাংকার, কখনও সাংবাদিক আবার কখনও বা একমি কোম্পানির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দিয়ে আসছিল।
বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া লিখিত পরীক্ষাসহ মৌখিক ভাইভা বোর্ড বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের নকল সীল মোহর ও কাগজপত্র তৈরীসহ ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে চাকুরী প্রত্যাশি তরুণদের প্রতারিত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। লিয়াকতের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার তিন তরুণ র্যাব কার্যালয়ে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাছাই এবং তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রাথমিক সত্যতা পেলে সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ফেলাননগর গ্রাম হতে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
এই বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান সাংবাদিকদের জানান, লিয়াকতের মাধ্যমে প্রতারিত বোয়ালমারীর তুহিন শেখ বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।