সংবাদদাতা ::
সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে ইলিশের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ইলিশ বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব মজুদ নিরুপণ ও জাটক সংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ করতেই হবে। তার বিশ্বাস সর্বনাশা এই কারেন্ট জাল জেলেরা ব্যবহার করবেন না। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণ এবং নব্যতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
কর্মশালায় প্রধান বক্তা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাই জাটকা রক্ষা করা সকলেই দায়িত্ব ও কর্তব্য। কেউ যদি নিষিদ্ধ সময় এই জাটকা পরিবহন করে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অবস্থাতেই জাটকা ধরা, পরিবহন ও বিপণন করতে দেওয়া হবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো মূল্যে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা পচিালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইসুল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক আবু সাঈদ মো. রাশেদুল হক, জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার জমশের আলী প্রমুখ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। অন্যদের মধ্যে ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান, ইলিশ জোরদার করণ প্রকল্প পরিচালক আবুল বাশার, জেলে প্রতিনিধি মানিক দেওয়ানসহ বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী, সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরী প্রমূখ জাটকা সংরক্ষণে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এতে মৎস্যজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মৎস্যবিজ্ঞানিসহ সমাজের বিভিন্নস্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।