ডেস্ক প্রতিবেদক ::
হোলির দিন বাড়ির বাইরে ক্রিকেট খেলায় এক মুসলিম পরিবারকে বেধড়ক পেটাল একদল যুবক। তাড়া করে ঘরে ঢুকে, মাটিতে ফেলে, রীতিমতো লাঠি এবং রড দিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হল তাঁদের। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুরুগ্রামের ভূপ সিংহ নগরের ঘটনা। অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে বাকিদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আক্রান্ত ওই পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা মুসলিম হওয়াতেই তাঁদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। এমনকি মারধরের সময় তাঁদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলে হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ তাঁদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, হোলির দিন ভূপ সিংহ নগরে বাড়ির কাছেই ক্রিকেট খেলছিলেন কয়েক জন যুবক। ওই সময় মত্ত অবস্থায় ৩০ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী আসে সেখানে। হোলির দিন কেন তাঁরা ওখানে ক্রিকেট খেলছেন, এই প্রশ্ন তুলে ৩০ থেকে ৪০ জন তাঁদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি চলে দু’পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে তাঁদের মারধর করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। এমনি পাকিস্তানে চলে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের, জানান এক আক্রান্ত।
পুলিশের কাছে দেওয়া আক্রান্তের বয়ান অনুযায়ী, তারপর ভয়ে, আতঙ্কে প্রত্যেকেই বাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন। লাঠি, রড নিয়ে পিছু ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরাও। এর পর তাঁদের বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে তারা। তাদের প্রত্যেকের হাতেই লাঠি, রড ছিল। মাটিতে ফেলে সেগুলো দিয়েই বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। পরিবারের বাকি সদস্যরা বাধা দিতে এলে তাঁদেরও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার সময় অন্য একটি ঘর থেকে পুরো ঘটনাটা মোবাইলে ভিডিয়ো করেন এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন সাধারণ মানুষ। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা হাতজড়ো করে দুষ্কৃতীদের চলে যেতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছে না দুষ্কৃতীদের কেউই।
গুরুগ্রামের এসিপি শামসের সিংহ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্তেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাঁরা বাড়ির বাইরে ক্রিকেট খেলার সময়ই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’’ নিউজ সুত্র আনন্দবাজার পত্রিকা