মামুনুর রশিদ ::
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমে উঠেছে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বই মেলা। বই মেলায় আগন্তক দর্শনার্থীদের মনকে উচ্ছ্বাসিত করতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংযুক্ত করেছে মেলা আয়োজক উপজেলা প্রশাসন । এরফলে মেলার বইপ্রেমীদের মধ্যে সৃষ্ট হয়েছে বাড়তি আনন্দ। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৭টা পর্যন্ত চলছে বই মেলা। মেলা কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রকাশনার বই নিয়ে মোট ২৫টি স্টল বসেছে। বই বিক্রি নিয়ে অনেকটাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেলার বিভিন্ন স্টল মালিকেরা।
তাদের অনেকের ভাষ্যমতে, উপজেলা পর্যায়ে প্রথম বই মেলা হলেও প্রতিটি স্টলে বেশ বই বিক্রি হচ্ছে । শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকল বয়সের ক্রেতাদের মেলায় আগমন ঘটায় মেলা প্রাঙ্গন জমে উঠেছে বলে জানান আশরাফ লাইব্রেরীর মালিক জুবাইর বেগ। তার ভাষ্য, সকাল থেকে মেলায়দর্শনার্থীরা একের পর এক আসছে। বিশেষ করে দুপুর ২টার পর থেকে প্রতিদিন মেলা অঙ্গন সবচেয়ে বেশী জমে উঠছে।
মেলায় আগত শিশু তানহার সাথে কথা হয়। মেলা কেমন লাগছে? জানতে চাইতেই তানহা হাসিভরা মুখে জানায়, তার কাছে খুব ভাল লাগছে! কোন বই কিনেছ কি? উত্তরে জানায় ঠাকুমা ঝুলির একটি বই কিনে দিতে হবে বাবাকে বলেছি।
কথা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভাঙ্গার সিনিয়র সাংবাদিক এশিয়ান টিভির মাসুম অর রশিদ জানান, ভাঙ্গায় প্রথমবারের মত উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বইমেলার শুরুটা করেছেন এজন্য ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিবাদন। আমরা চাই বইমেলার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভাঙ্গার আগামী প্রজন্মের সকল শিশু কিশোর বইয়ের আলোয় আলোকিত হয়ে সোনার মানুষ হিসাবে গড়ে উঠবে।
এপ্রসঙ্গে কথা হয় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকতাদিরুল আহমেদের সাথে। তিনি জানান আজকের যুগে হয়ত অনেকেই ইন্টারনেট থেকে বই নামিয়ে বই পড়তে পারেন। কিন্তু বই মেলা থেকে একটি বই কিনে যদি কোন পাঠক বইটি পড়েন তাহলে সেই পাঠকের বই পড়ার স্বাদ কিছুটা ভিন্ন। এজন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলাবাসীকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বইমেলা উপহার দেওয়া।
উল্লেখ্য বুধবার সন্ধ্যায় তারেক মাসুদ ও ক্যাথিরিন মাসুদ পরিচালিত “মুক্তির গান” ছবিটি মেলায় প্রদর্শিত করা হয়েছ। শত শত দর্শক “মুক্তির গান” ছবিটি উপভোগ করেন। তারেক মাসুদ ভাঙ্গার নুরপুর গ্রামের সন্তান। প্রদর্শন অনুষ্ঠানে তারেক মাসুদের মা, ভাই ও বোনসহ তার স্বজনেরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।