• রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে সাংবাদিক-পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল সৌদিতে দুর্ঘটনায় ১২ বাংলাদেশির মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর শোক মামলার থাকায় প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না ইউএনওদের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় পদ্মা রেল লিংকের শ্রমিক নিহত ভাঙ্গায় নারীর ক্ষমতায়নে উই প্রকল্পের র‍্যালী ও আলোচনা সভা ভাঙ্গায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে র‍্যালী ও আলোচনা সভা ভাঙ্গায় মাঝারদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে ঘর পেল ২৬৪টি ভূমিহীন পরিবার

“অতীতের ভালবাসা মিশে আছে বর্তমানে”

Reporter Name / ১০৭৯ Time View
Update : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৯

লেখার শুরুতেই ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মূকতাদিরুল আহমেদ স্যারকে জানাই স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা। কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছি প্রথমবারের মত ভাঙ্গায় বই মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পাশাপাশি দিব্যজ্ঞানে তিনি (তর্জনী-৭১) নামে দেয়ালি প্রকাশের প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে নিজেকে সাংস্কৃতিক চেতনা ধারায় উম্মেচন করেছেন সে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

একজন সংবাদকর্মী হিসাবে স্যার এবং উপজেলা প্রশাসনের পরিশ্রমী সকল যোদ্ধাদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন।

কিছু স্মৃতি কিছু কথা কোনদিন ভুলে যাওয়ার নয়!

মানুষ তার ফেলে আসা দিনের স্মৃতিকে আঁকরে ধরে বেঁচে থাকে। আমার অভিমত অতীতের ভালবাসা হৃদয়ে মিশে থাকে বর্তমানে। মনে হয়, এইত সেদিনের কথা? আশির দশকে মধ্যে বিন্দুতে আমার মত (আমাদের ভাঙ্গায়) অন্য যারা ইংলিশ প্যান্ট ও হাফহাতা জামা পড়ে বেড়ে উঠেছিল হয়ত অনেকের মনে থাকবে।

কিশোর জীবন থেকেই বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো আমরা দেখে আসছি। তার কিছু কিছু আজও মনে পড়ছে! কিভাবে আমাদের সামাজিক ক্লাবের সদস্য বড় ভাই এবং বন্ধুরা পালন করতে সচেষ্ট ছিলাম ।

ফেলে আসা দিনের বিভিন্ন সময়ে পালনে কিছু ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়। যতদুর মনে পরে সেই সময়ে ভাঙ্গায় সামাজিক সংগঠনের মধ্যে ভাঙ্গার চৌকি আদালত (মুন্সেফ কোর্ট) সংলগ্ন ওরিয়েন্ট লাইব্রেরী) অনন্ত স্মৃতি হল (যে ক্লাবটি আজ কালের সাক্ষিগোপাল হিসাবে ভগ্নদশা নিয়ে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে) ও পাইলট হাইস্কুল চত্বরের নোমানি ক্লাব অন্যন্য দুটি নাম।

অনন্ত স্মৃতি হল মূলত রাজনৈতিক ও সামাজিক আদর্শের প্রতীক হিসাবে সবার কাছে বিবেচ্য ছিল। নোমানি ক্লাব ছিল একটি বিশেষ পাঠাগার। অনন্ত স্মৃতি হল ও নোমানি ক্লাবের পাশাপাশি সমসাময়িক সামাজিক সংগঠন ভাঙ্গা বাজারপাড়ের উদয়ন ক্লাব। যেখানে সুস্থ্যধারার সাংস্কৃতিক চর্চা ও পরিবেশন ছিল মুখ্য।

ভাঙ্গা কোর্টপাড়ের শিব মন্দির সংলগ্ন (পুরাতন ভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও পৌরসভার সাবেক ভবন) খেলা ঘর। বিশেষভাবে খেলা ঘর পরিচালনায় যার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়।

আমাদের কেএম কলেজের সাবেক প্রভাষক নন্দ দুলাল স্যার।

একই সাথে মুধু দা, জিল্লু তালুকদার ও সোনাই। তাদের হাত ধরে প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী দলিল উদ্দিনের ছেলে মাসুদ ভাই, নুরপুর মিয়া বাড়ির বাবলা ভাই, পশ্চিম হাসাম দিয়ার কামাল মিয়া, কেএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলজার আহমেদ স্যারের মেজ ছেলে হুমায়ন কবির কল্লোল ভাই ও লিকু ভাই “খেলা ঘর” ক্লাবের নেতৃত্বে ছিলেন।

পূর্বের উল্লেখযোগ্য সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে খেলাঘর যখন চীরধরে অধুনা বিলপ্তির পথে এগিয়ে চলছল সেই সময়ে ভাঙ্গায় ওবায়দুল আলম সম্রাট (সাংবাদিক) এর ইয়ংপ্যানথারস ক্লাব গড়ে উঠে। এরপর এভারগ্রীন ব্রাদার্স ক্লাব ছিল উল্লেখযোগ্য। এসব সামাজিক সংগঠনের সাথে বিশেষতভাবে জড়িয়ে আছে আমার ফেলে আসা স্মৃতিরপটে ।

১৯৮১ সালের মহান বিজয় দিবস পালনের লক্ষে ইয়ংপ্যানথারস ক্লাবের সভাপতি গুরু এসকেন খলিফা (প্রয়াত), বাচ্চু খান, অনু, অপু ভাইসহ সকল সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয়। বড় ভাইদের সিদ্ধান্ত মতে আমরা কজন সদস্য বন্ধু রুবেল, তারেক, তপু (প্রয়াত), টুটুল, রাহাত (বর্তমান জার্মান প্রবাসী), চুন্নু নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাবু ভাঁড়া করে রাত কাঁটিয়ে দিব।

১৩ ডিসেম্বর আমাদের সকল বন্ধুদের পরীক্ষা শেষ। বিকেলে ক্লাবের বড় ভাইদের সাথে এপ্রসঙ্গে কথা উঠতেই তারা বলেন “আগে নিজেদের বাড়ি থেকে থাকার অনুমতি দিবে কিনা দেখ। এরপর আমরা তোমাদের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমার পটুয়া বন্ধুদের মধ্যে ক’জন হুট-হাট করে মুখের উপর বলে দিলেন ভাই আমরা বাড়ির থেকে অনুমতি এনেছি। এই বিষয়ে চিন্তার কোন কারন নেই। ওদের কথাশুনে চার বড় ভাই আমাদের হাতে ১৫০ টাকা টাকা তুলে দেন।

টাকা পেয়ে সেদিন বিকেলে ২৫ টাকায় তাবু ভাড়া এবং মাইক ভাড়া করি (ভাঙ্গার প্রথম ক্যাসেট মাইক সার্ভিস বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে) আরও ২৫ টাকা দিয়ে। এবার রাতের খাবার। প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল নিজ নিজ বাসা থেকে খেয়ে আসার। কিন্তু অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম তাবুর পাশে রান্না করা হবে সবজি খিচুরি। ক্লাবের বড় ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া টাকা খরচ করার পরে কিছু হাতে ছিল। যা দিয়ে খিচুরি রান্না করার চাল, ডাল, তৈল, লাকড়ি কেনা-কাটা হয়েছিল। বাকি ছিল সবজি। এবার কি করার।

আমাদের নিজেদের হাতে কিছু নেই। সেই আমলে বাবা-মা আমাদের হাতে ৫০ পয়সা থেকে এক টাকার বেশী দিতেন না। যা ছিল শুধু বিদ্যালয়ের টিফিন খরচ। কি করার? অবশেষে ডানপিটের দল সিদ্ধান্ত নেয় নিজেদের বাড়ি থেকে সবজি আনতে হবে! কথা মত মহা আনন্দে বন্ধুরা একে একে দিনের আলোয় নিজেদের বাড়ি থেকে আলু, সিম, টম্যাটো ইত্যাদি বিশেষ উপায়ে নিয়ে আসি। মাগরিবের নামাজের আগেই চৌকি আদালতের পিছনের বেশ বড় একটি ফাঁকা জায়গায় আমাদের তাবু টানানো হয়। মাইকে চলছে দেশের গান। সালাম সালাম হাজার সালাম। একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁ। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি।

এবার রাত কাটাতে হবে তাবুতে! কিন্ত কিভাবে? বাড়ি থেকে আসার উপয়ায় কি? একেই সেই সময়ে আমাদের প্রতি ঘরে আমাদের জন্য পরিবার থেকে বিশেষ নির্দেশনা ছিল মাগরিবের আযানের আগে ঘরে ফিরতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে কোন রক্ষা নেই। সেখানে বাহিরে রাত কাটাতে——–।

অবশেষে বাবা-মায়ের হাতে পায়ে মিনতি করে সুযোগ পাই তাবুতে রাতের বেলায় থাকার। তবে শর্তের শেষ ছিল না। না বললেই নয়। আজ বন্ধুদের কারো মা বেঁচে আছেন কিন্তু বাবা নেই। কারো বাবা বেঁচে আছেন কিন্তু মা নেই। আবার বাবা-মা দুজনের কেউ বেচে নেই। কিন্তু সেইদিনের শর্তের প্রতি আমি/আমরা আজও অনেকেই শ্রদ্ধাশীল। সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে বা বিশেষ ক্ষেত্রে বন্ধুরা এক সাথে হলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস রাতে তাবুতে রাত কাটাবার স্মৃতির কথা এবং বাবা মায়ের শর্তের কথা কে কতটুকুন মনে করি এই নিয়ে কথা উঠে। ক্লাবের বন্ধুরা মিলে রাতে আমরা তাবুতে রাত কাটালাম।

পরের দিন সকালে ভাঙ্গা চৌকি আদালতের সামনে (ওরিয়েনট ক্লাব/ অনন্ত স্মৃতি হল পাশে) লালসালু কাপড়ে ঘেরাও করা যায়গায় তৎকালীন সিও সাহেব এবং চৌকি আদালতের সহকারী জজ বাহাদুর জাতীয় সালাম গ্রহণ করেন। সেই অনুষ্ঠান দেখতে বন্ধুরাসহ ভাঙ্গার জনগণ চারদিকে ভীর জমিয়ে তুলতাম।

বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দিবস আসলেই সন্ধ্যার পর ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢোল, তবলা আর খঞ্জনী নিয়ে দেশের গান গেয়ে সাধারণ মানুষের বিনোদন যুগিয়েছেন আমাদের ভাঙ্গার সেই সময়ের সাংস্কৃতিকমনা শিল্পীরা। বিদ্যালয়ের পিছনে কালিবাড়ি মন্দিরের সামনে ছিল পাঠশালা। সেখানে চলত যাত্রাপালা। বাংলাদেশের এক সময়ের গ্লামার নায়িকা অনজু ঘোষ ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের সন্তান হিসাবে তিনিও কালিবাড়ি পাঠশালা মন্দিরে যাত্রা করেছেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে আমাদের শিল্পীরা দেশের গানের পাশাপাশি একটি গান গাইতেন তার মধ্যে একটি গান আজও আমার কানে বাজে। “বিলাই কয় মাছ খাবো না, দুধ খাবনা লঙ্কা যাব। ও বিলাইরে——————-রে “।

সেদিনের সাংস্কৃতিকমনা সম্মানিত এস্কেন খলিফা ভাই, আলমগীর মামাসহ সেইদিনের শিল্পীদের মধ্যে আজ অনেকেই নেই। ক্ষুদ্র মানুষ হিসাবে আমার আজকের লেখা তাদের জন্য উৎসর্গ করছি। সময়ের পথ বেয়ে চলা ক্ষনিকের অতিথির মত দুনিয়ার বুক থেকে একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। আজ যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

ফেলে আসা স্মৃতির আরও একটি ঘটনা উল্লেখ করে আমার লেখার ইতি টানছি। আমাদেরকে সাধারণত বলা হত হাইস্কুল পাড়ের ছেলেরা। যে কারনে এবার আমার ক্লাব পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমাদের এলাকার একজন বড় বোন মমতাজ বেগম মহল আপা। তিনি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চেতনার ছিলেন। কোন এক বিকেলে আমাদের ৫/৬ জন বন্ধুদের তার বাসায় ডেকে নিয়ে বললেন।

শোন আমাদের হাইস্কুল পাড়ে তোমাদের মত অনেক কিশোর রয়েছে। আমি একটি ক্লাব করে দেয়। তোমারা পড়ালেখার পাশাপাশি এটা চালিয়ে যাও। মন ভাল থাকবে। আপার কথা মত তার উপরে ক্লাবের নামের দায়িত্ব দেওয়া হলে। দুদিন পরে আপা আমদের ডেকে নিয়ে বললেন শুন একটি নাম আমি সিলেক্ট করেছি। দেখ চলবে কিনা? তোমাদের ক্লাবের নাম হবে “ভাঙ্গা এভারগ্রিন ব্রাদার্স ক্লাব”। আমরা উচ্ছ্বাসিত হয়ে শুধু বললাম “আপা সুন্দর নাম।

আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা “ভাঙ্গা এভারগ্রিন ব্রাদার্স ক্লাব”এর নামে অনুষ্ঠান করতে চাই। আপা রাজী হয়ে বললেন তোমাদের অনুষ্ঠানের খরচ আমি বহন করবো। আমরা ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করি।

অনুষ্ঠানের পরিধান করার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি আমাকে আমার বাবা একটি ইংলিশ প্যান্ট আর হাফহাতা নতুন জামা বানিয়ে দেন বাজার পাড়ের এলাকার দর্জি গৌরাঙ্গ দাদার দোকান থেকে। বলা হয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারির সকালে পরিধান করবো। কিন্তু নতুন প্যান্ট আর হাফহাতা নতুন জামা। আমার ত্বর সইছিল না। রাতের আধারে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে নিজের থেকে উহা পরিধান করি এবং চুপিসারে বাড়ির পিছন দরজায় তালা ঝুলিয়ে প্রিয় ডানপিটে শাহিন, মহসিন, অহিদ, লুতফর মামাসহ ৭ বন্ধুরের সাথে ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদ মিনার সাঁজাতে ফুল চুরি করতে বেড়িয়ে পড়ি। ফুল চুরি করতে প্রথম পদক্ষেপ ছিল এলাকার জেলে পাড়ায়। একটি সময় জেলে পাড়ায় অসংখ্য বাড়িতে গেন্দা ফুল (গাঁদা ফুল) গাছের সমারোহ ছিল।

সেখান থেকে সাকসেস হওয়ার পর ২য় পদক্ষেপ ছিল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে কালি বাড়ি আমাদের প্রিয় শিখা দিদির বাড়িতে। আমার লেখার মধ্যে দিয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে লিখছি শিখা দিদির পরিবারের তিন সদস্য দিদি তার মা ও একমাত্র ভাই সজল দা। তারা সবাই পরলোকগমন করছেন। দিদির স্বামী অমিত ঠাকুর দাদা ও তাদের একমাত্র সন্তান তন্ময় মামা ছাড়া বর্তমানে আর কেউ নেই। দিদির বারিতে রাতে আঁধারে ফুল চুরি করতে গিয়ে আমাদের বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে কয়েক দফায়।

আমরা বড়দের কাছ থেকে জেনেছিলাম দিদির মা কাকিমা। তিনি নাকি ২১ শের রাত আসতেই রাতে ঘুমাতেন না। বাস্তবেও ছিল তাই। আমরা ফুল আনতে গিয়েছি ত সেই রাতে কয়েক দফায় আমাদের তারা করেছিলেন কাকি মা। শেষ বারের মত যখন কাকিমার তারা খেলাম এক বন্ধুর পা কেটে গেল ভাঙা কাচের বতলে। অন্য এক বন্ধু ময়লার খাদে পড়ে গিয়ে পুরা শরীরের বারটা বেজে গেল।

আরেক বন্ধুর শীতের চাদর আর স্যান্ডেল রয়ে গেল কাকিমার কল পাড়ে। সর্বশেষ আমি। অন্ধকারে কাকিমার লাঠির আঘাতের ভয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে বাবার দেওয়া প্যান্ট আর হাফহাতা নতুন জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল কাকিমার বাড়ি ঘেরার পুরাতন টিনে জড়িয়ে। অবশেষে জেলে পাড়ার ফুল আর সংগ্রহীত দেবদারুর ডালপাতা দিয়ে ফুলের মালা বানিয়ে শীতের ভোররাতে শহীদ মিনার সাজিয়ে ছিলাম।

আর সামনে নয়। এবার পিছন ফেরার পালা। অতীতের ভালবাসা মিশে আছে বর্তমানে, হয়ত অনেক লিখেছি। যদি লেখার কোথাও ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে। ধন্যবাদ এই ভালবাসা।

লেখক
মামুনুর রশিদ
সম্পাদক
সাপ্তাহিক “ভাঙ্গার খবর”

ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এর তর্জনী-৭১ নামে দেয়ালি-তে সম্পাদকের এই লেখাটি প্রকাশ করা হয়েছে। লিড-নিউজ ও সাপ্তাহিক “ভাঙ্গার খবর” পত্রিকার পাঠকদের জন্য হুবুহুবু লেখাটি প্রকাশ করা হল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরও সংবাদ