• শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩, ০১:৪০ অপরাহ্ন

ভারতের নির্বাচনে সেই পুরনো বিতর্ক নিয়ে ফিরছেন মিঠুন

Reporter Name / ৯৭১ Time View
Update : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯

ডেস্ক প্রতিবেদক ::

ভারতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। আসছে ১১ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে দেশটির জাতীয় এই নির্বাচন। এরই মধ্যে যে যার মতো প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বেশি দেখা যাচ্ছে সেলিব্রেটিদের মুখ। বলিউড, টালিউড তারকারা রুপালী পর্দা ছেড়ে বর্তমানে ভোটের প্রচারণায় ব্যস্ত।

কংগ্রেস, বিজেপিতে ভাগ হয়ে গেছে ভারতীয় সিনেপাড়া। ভারতীয়রা যখন নিজেদের মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে রাজনীতিতে সরব তখনই ভারতীয় সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী পাক-ভারত রাজনীতি নিয়ে হাজির হলেন সামনে।

তবে তা বাস্তবে নয় রুপালী পর্দায়। মোদি বনাম রাহুল রাজনীতি রেখে তিনি চলে গেলেন আইয়ুব খান ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সময়ে। সেই ১৯৬৬ সালের পটভূমি তুলে ধরলেন তার ছবিতে। ছবির নাম ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’।
আর এ ছবিতে দেখানো হবে বিতর্কিত এক ইতিহাস। সেটা হলো – তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা।

ভারতীয় ইতিহাস বলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর। তবে সে সময় তার ছেলে সুনীল শাস্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

প্রমাণ হিসেবে তিনি বলেন, বাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলচে দাগ দেখেছি আমি।

লালবাহাদুর শাস্ত্রীর শরীরের নীচের অংশে কাটা দাগও নাকি দেখেন তিনি।

তবে সেই সময়ে সুনীল এসব দাবি জোড়ালোভাবে সামনে আনতে পারেননি। এবার মিঠুন চক্রবর্তী সেই বিতর্কিত বিষয়টিই ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ ছবিতে নিয়ে আসছেন।

আর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মুক্তি পেতে চলেছে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ নামের এই সিনেমা। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে সাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতী চুক্তি। মধ্যস্থতায় ছিল জাতিসংঘ। ‘তাসখন্দ চুক্তি’ হিসেবে পরিচিত সেই চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পরদিনই হঠাৎ মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর।

ছবিটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার অভিনীত চরিত্রের নাম শ্যামসুন্দর ত্রিপাঠী।

ছবিতে আরও রয়েছেন খ্যাতিমান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, যিনি পি কে আর নটরাজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রয়েছেন শ্বেতা বসু প্রসাদ, মন্দিরা বেদি, পল্লবী যোশী, রাজেশ শর্মা প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরও সংবাদ