প্রতিবেদক :
দেশে ১৩০০০ পুলিশ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অনেক পুলিশ কষ্ট করে দিনযাপন করেন, অথচ অনেকের দেখি ৪-৫ টা বাড়ি। চোরের দেশ একটা। আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার ওসির একটি মামলায় মধ্যস্থতা করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত জানান, ১৩ হাজার পুলিশ যারা থানায় বসে, তাদের জন্য গোটা পুলিশ বিভাগের বদনাম হয়। তারা সুবিধা মত মামলা নেয়। থানায় টাকা ছাড়া জিডিও হয় না।
অনেক পুলিশ কষ্ট করে দিনযাপন করেন, অথচ অনেকের দেখি ৪-৫ টা বাড়ি। চোরের দেশ একটা। সেই সাথে ওসিরা সব জায়গায় রাতে কোর্ট বসায় কিভাবে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আদালত।
সাতক্ষীরার বাসিন্দা আবুল কাসেমের দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে সকালে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
পরে আদালত আবেদনটি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করে রাখেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শামসুল হক কাঞ্চন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
মামলার শুনানিতে রিটকারির আইনজীবী জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সোরা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাসেমের বাড়িতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় কয়েকজন । এ ঘটনায় তিনি ইউসুফ আলীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শ্যামনগর থানার মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটি না নিয়ে তা মীমাংসার প্রস্তাব দেন।