মামুনুর রশিদ ::
যেতে নাহি দিব । হায় , তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায় । কিছু বিদায় আনন্দের থেকে কষ্ট হয়ত একটু বেশীই দিয়ে থাকে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন কেউ যদি একটি জায়গায় থাকেন এবং সেখানকার সুন্দর চেতনার আলোয়ে জড়িয়ে পড়েন।
বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপস্থিত সকলের মধ্যে ছিল আবেগময় একটি শীতল পরিবেশ। প্রতিনিয়ত যে সভাকক্ষে সেমিনারসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা অথবা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগর দিবস ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে সকালে এক প্রস্তুতি সভা হয়েছিল একই সভাকক্ষে।
কিন্তু বিকেলে———-সেই সভাকক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান ছরোয়ার হোসেনসহ সরকারি তিন কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফছানা কাওসার (মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় বদলী) শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ( মুক্সুদপুর) ও সমবায় অফিসার প্রভাস চন্দ্র বালা ( শরীয়তপুর) কে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। তাৎক্ষণিক সেই পরিবেশটা হয়ে উঠেছিল একটি স্মৃতিচারণে।
একের পর এক বক্তা যখন নিজেদের কথা বলছিলেন তখন বিদায় নিতে আসা উপস্থিত ২ জনপ্রতিনিধি ও ৩ সরকারি কর্মকর্তা অনেকটাই আবেগ আপ্লূত হয়ে উঠেন। বক্তব্যর পালা যখন সংবর্ধিত অতিথির কাছে আসে তখন সেখানকার পরিবেশ আরও ভালবাসার আদলে ভরে উঠে। বিশেষ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফছানা কাওসার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশে থেকে কাজের ক্ষেত্রে যে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং অন্যান্যে সহকর্মীদের সহযোগিতার কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন।
সমবায় অফিসার প্রভাস চন্দ্র বালা। নিজের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া একটি মর্মস্পর্শী নিজের সন্তানের অকাল মৃত্যুর ঘটনা বলার পর উপস্থিত সবার চোখে যেমন জল গড়িয়ে দিয়েছেন বিপরীতে নিজের চোখের লোনা জলে ভরে তুলেছেন। সেই দৃশ্য একটি বিদায় অনুষ্ঠানকে আরও আবেগময় ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছল সবার কাছে।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিদায়ের পালায় জনপ্রতিনিধি ও তিন কর্মকর্তাকে উপজেলা অফিসারস ক্লাব, উপজেলা কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছার পাশাপাশি গিফট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মূকতাদিরুল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও উপজেলা পরিষদের কর্মচারীবৃন্দ। অবশেষে গ্রুপ ছবি এবং সেলফির মধ্যে দিয়ে যবনিকা টানা হয় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের।