ডেস্ক প্রতিবেদক ::
নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এজহারভুক্ত এক নম্বর আসামি ও সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোনাগাজী উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক মো. শরাফউদ্দীন আজ দুপুরে শুনানি শেষে এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১২টার সময় আসামি এস এম সিরাজ উদ দৌলার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোনাগাজী উপজেলা আমলি আদালতে হাজির করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
এ ছাড়াও এজাহারভুক্ত অপর আসামি মাদরাসার ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দিন ও আলিম পরীক্ষার্থী আরিফুর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তাদের ৫ দিন মঞ্জুর হয়।
এদিকে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার ও মামলা পিবিআইয়ে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি- মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নতুন করে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মামলার তদন্তের শুরু থেকে বাদীপক্ষ ওসির কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন। তাই মামলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে ওসি কোন অন্তরায় হতে পারে এমন আশঙ্কায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর ওই ছাত্রীর (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে সোনাগাজী পৌর এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী ওই মাদ্রাসা থেকেই আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র সেদিন জানায়, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন।
পরীক্ষার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়েছে।