সংবাদদাতা ::
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে ঝলসে মারার ঘটনায় দোষীদের বিচার দ্রুত বিচার আইনে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার মামলা বিষয়ে প্রসিকিউশনকে বলেছি যেন দ্রুত ও সর্বোচ্চভাবে তারা তাদের কাজটা করে। চার্জশিট হলে দ্রুত বিচার আইনে যাতে বিচার হয় সে ব্যবস্থাও নেবো। প্রসিকিউশন টিমকে এরই মধ্যে তা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে একটি অভিযোগপত্র দিতে হবে। আমি আপনাদের বলছি, এরকম মামলা যখনই হবে এটাকে ফাস্ট ট্র্যাক করবে। আমি প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেব, যাতে এটাকে ফার্স্ট ট্র্যাক করা হয়। কোনো প্রশ্নেরও প্রয়োজন হবে না।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে।
সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সড়ক নিরাপত্তা আইনের বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। আইন কার্যকরে সবই করা হবে। কিছুদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসা হবে। বিধি হবার পর বাস্তবায়ন-প্রয়োগেই ভালো-মন্দ প্রতিফিলত হবে।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইনের ১২টি পয়েন্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মহলের আপত্তি রয়েছে। এ নিয়ে আবারো আলোচনা হবে। স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত জাহান রাফি মারা যান। নুসরাতকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।