• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে সাংবাদিক-পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল সৌদিতে দুর্ঘটনায় ১২ বাংলাদেশির মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর শোক মামলার থাকায় প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না ইউএনওদের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় পদ্মা রেল লিংকের শ্রমিক নিহত ভাঙ্গায় নারীর ক্ষমতায়নে উই প্রকল্পের র‍্যালী ও আলোচনা সভা ভাঙ্গায় মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে র‍্যালী ও আলোচনা সভা ভাঙ্গায় মাঝারদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে ঘর পেল ২৬৪টি ভূমিহীন পরিবার

আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

Reporter Name / ১৮০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

লিড-নিউজ ডেস্ক :: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৭টায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। লন্ডন থেকে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা রাইজিংবিডিকে মৃত‌্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা।

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। ১৯৫০ সালে ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মহিউদ্দিন আহমদ ও কাজী আফসার উদ্দিন আহমদ তখন ‍‘দৈনিক ইনসাফ’ পরিচালনা করতেন। ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।

মাসিক সওগাত, দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বরেণ্য এই সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ বের করেন।

তিনি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাস লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশি’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরও সংবাদ