নিজস্ব প্রতিবেদক :: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের আমতলা চরকান্দা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় এক নারীসহ ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্রবাসী যুবক মহিউদ্দিন মোল্লার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। আহত নাসিমা বেগম এর সুচিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ভুলু মোল্লা।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে চারটার দিকে। এ ঘটনার পর প্রবাসী পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এবং ফের তাদের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটতে পারে বলে চরম শংকায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত প্রবাসী যুবকের মা নার্গিস বেগম। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুলু মোল্লা পরিবারের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি গ্রাম্য নেতার সাথে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি ভুলু মোল্লার অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতি টার্গেট করে তাকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিবিধভাবে হয়রানী করতে একটি চক্র তাঁর পিছনে ধাওয়া করে আসছে।
সেই সূত্রতায় স্থানীয় গ্রাম্য কতিপয় নেতার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সংঘবদ্ব যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুলু মোল্লার বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় তাঁর প্রবাসী ছেলেকে রাস্তায় একা পেয়ে ধারালা অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এসময় তাকে বাঁচাতে তাঁর চাচি নাসিমা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও ধারালা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সংঘবদ্ব কতিপয় যুবক। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্বার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর-বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে ভুলু মোল্লা বলেন, আমার (তাঁর) পরিবারের সবাই বিদেশ যাত্রা করে দেশে ফিরেছে। এলাকায় আমরা এজন্য প্রবাসী পরিবার হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। কিন্ত এলাকার কতিপয় গ্রাম্য নেতা বিবিধ সময়ে তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর অশুভদৃষ্টি দিয়ে আসছিল। এ চক্রের সদস্যরা সুযোগ পেলেই আমার ও আমার সন্তান্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠে। আমি ও আমার পরিবার যাতে এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পাড়ি এজন্য তাঁর সন্তানকে যারা কুপিয়ে আহত করেছে সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে দোষীদের শাস্তির দাবী জানাই।
ভুলু মোল্লার স্ত্রী নার্গিস বেগম বলেন, সবার ঘরেই সন্তান আছে। তাহলে কেন আমার সন্তান্দের উপর এভাবে বার বার হামলা মামলা? আমার সন্তানকে যারা কুপিয়ে আহত করেছে সঠিক তদন্তর মাধ্যেমে আমি তাদের বিচার চাই বলে তিনি সন্তানের জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আহত মহিউদ্দিনের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের একমাত্র সন্তান সামিহার আকিকার জন্য আমার স্বামী বাজার করে ঘরে ফিরছিল। সেই মুহূর্তে গ্রাম্য কতিপয় নেতারা তাদের লোকজন নিয়ে বাড়ির মহিলাদের জিম্মি করে আমার স্বামীকে একা পেয়ে তাঁর উপরে হামলা চালিয়ে আহত করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কিছু অংশ ধারণ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবী করেন।