সংবাদদাতা :: ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণের জানাজা শেষে তাদের দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। আজ শনিবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় নিহত ১১ জনের মধ্যে পাঁচ জনের জানাজা হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার খন্দকিয়া ছমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তাদের চার জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নিজ গ্রামে।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া, অপর দুই জনের জানাজা শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং রাতেই তাদের দাফন করা হয়।
নিহত ১১ জন হলেন, হাটহাজারী উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজি মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খান বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯)।
গতকাল শুক্রবার রাতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ।
দুর্ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেটম্যানের অবহেলাকে দায়ী করে তাকে আসামি করা হয়েছে। গেটম্যান সাদ্দাম বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের খৈয়াছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হতাহতদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে।