নিজস্ব প্রতিবেদক :: মহামারি করোনার পূর্ণজোয়ারের সময় ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামের যুবক রুহুল ইসলাম। জীবনের দুঃসময়ে প্রিয়জনদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় অদম্য মনোবল নিয়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেন কাশ্মীরী আপেল কূল চাষসহ মৌসুমি বিভিন্ন ফলের চাষ। ফলের চাষের মধ্যে দিয়ে সংসারের আর্থিক স্বচ্ছলতায় ভরে উঠেছে যুবক রুহুল আমীনের।
তিনি জানান, সংসারের হাল ধরতে অন্যের কাশ্মীরী আপেল কূল চাষ দেখে দেখে একবছর আগে নিজে শুরু করেছিলেন কাশ্মীরী আপেল কূল চাষ। প্রথম বছরে প্রায় পাচ লক্ষাধীক টাকার কাশ্মীরী আপেল কূল বিক্রিতে হয়ে উঠেন তিনি লাভবান। নিজের সংসারের স্বচ্ছলতা প্রসঙ্গে তিনি জানান ঘরে বাবা মা ও নিজের সংসারের হাল ধরতে আজ তিনি ফলদ বাগানের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন।
আল্লাহর রহ্মতে প্রথম বছর থেকে তিনি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। অন্যের এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আপেল কূলের চাষ শুরু করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি আরও দুটি বাগান করছেন। বাগানগুলো থেকে তিনি আরও আর্থিক লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদ।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের অসহায় বেকার যুবকদের যদি সরকারের পক্ষ থেকে ঋণ দেওয়ার সু-ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কোন যুবক বিদেশ নয় দেশের মাটিতে থেকে সব সময় ভাল কিছু করতে পারবে। এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবী জানান দেশে থেকে দেশের মাটিতে ফলন ফলিয়ে তাঁর মোট বেকার যুবকেরা নিজের পরিবার পরিজনদের দেখভাল করতে পারেন এজন্য সহজ শর্তে যদি ঋণ পাওয়ার সুব্যবস্থা করা হলে কৃষি প্রধান বাংলাদেশের গ্রামবাংলার শত বেকার যুবকেরা আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারবে।